দখিনের খবর ডেস্ক ॥ করোনা ভাইরাস সৃষ্ট বৈশ্বিক মহামারি কারণে গতবছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। মহামারির মধ্যে তবু নিরাশ কাউকে নিরাশ না করে শতভাগ অটোপাস দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে এই পরীক্ষার ফলাফল। গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ফলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ভার্চুয়ালি ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ অনুলিপি গ্রহণ করেন। পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসির ফলাফল দেয়া এবং শুধুমাত্র ডিজিটাল মাধ্যমে ফল প্রকাশের ঘটনা দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম। এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার শিক্ষার্থীর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বসার কথা ছিল। গত বছরের ১ এপ্রিল এই পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে পরীক্ষা ছাড়াই মূল্যায়নের মাধ্যমে উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এক্ষেত্রে জেএসসির ফল থেকে ২৫ শতাংশ এবং এসএসসির ফল থেকে ৭৫ শতাংশ নিয়ে গড় করে এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরাও এবার পরীক্ষার্থী দিয়েছেন। তাদেরকেও পাস করিয়ে দেয়া হয়েছে। সেই হিসেবে এবার শতভাগ পরীক্ষার্থীই পাসের মুখ দেখছে। জিপিএ-৫ পেলেন ১ লাখ ৬১ হাজার শিক্ষার্থী: এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন শিক্ষার্থী। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৪৭ হাজার ২৮৬ জন। এবার জিপিএ-৫ এর শতকরা হার ১১.৮৩ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৩.৫৪ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ পাওয়াদের মধ্যে সাধারণ ৯টি বোর্ডে পেয়েছেন এক লাখ ৫৩ হাজার ৬১৪ জন, মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে আলিমে পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৮ জন এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি, এইচএসসি (ভোকেশনাল/বিএম) জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ১৪৫ শিক্ষার্থী। আগে না পেলেও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ ১৭ হাজার শিক্ষার্থীর: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাননি এমন ১৭ হাজার ৪৩ জন শিক্ষার্থী এবার এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। আর জেএসসি ও এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া ৩৯৬ জন শিক্ষার্থী এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পায়নি। পরিসংখ্যান বলছে, জেএসসি এবং এসএসসিতে জিপিএ-৫ না পেয়ে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৫৭০ জন। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ১৫৭ জন। অপরদিকে, জেএসসি ও এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে ২০১৯ সালের এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাননি এমন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪৫ হাজার ৮৬৫ জন। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ৫২ হাজার ৬৩৪ জন। জিপিএ-৫ হারালেন ৩৯৬ শিক্ষার্থী: করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে পরীক্ষা না নিয়ে দুই পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল তৈরিতে ‘সাবজেক্ট ম্যাপিং’ করায় ওই দুই পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেলেও এবার ৩৯৬ জন শিক্ষার্থী পূর্ণাঙ্গ জিপিএ পাননি। আর জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পেলেও এবারের মূল্যায়নের ফলাফলে ১৭ হাজার ৪৩ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। ফল প্রকাশের অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, গত বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল তৈরির জন্য সাবজেক্ট ম্যাপিং করায় জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেলেও এবার ৩৯৬ জন জিপিএ-৫ পায়নি। তিনি বলেন, সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের কারণে জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রে এমনটি হয়েছে। যখন ম্যাপিং করা হয়েছে, তখন জিপিএ-৫ এর জন্য যে নম্বর দরকার ছিল, তা তারা পাননি। আবার বিষয়ভিত্তিক ম্যাপিং করায় অনেকে আগের দুই পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পেলেও এবার সেটি অর্জন করেছেন। জিপিএ-৫ না পাওয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী বেশি। এগিয়ে মেয়েরা: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। এবার ৪ হাজার ৮৬৯ জন বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে তারা। ফলের পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, এবার উচ্চ মাধ্যমিকে (এইচএসসি ও সমমান) মোট এক লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮৩ হাজার ৩৩৮ জন ছাত্র ও ৭৮ হাজার ৪৭৯ জন ছাত্রী। এইচএসসিতে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৫৩ হাজার ৬১৪ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ৭৪ হাজার ৭০৩ জন এবং ছাত্রী ৭৮ হাজার ৯১১ জন। তবে মাদ্রাসা বোর্ডে ছেলেদের চেয়ে কম জিপিএ-৫ পেয়েছে মেয়েরা। মাদ্রাসা বোর্ডে ২ হাজার ৩১৮ জন ছাত্র এবং এক হাজার ৭৩০ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে। কারিগরি বোর্ডে এক হাজার ৪৪৮ জন ছাত্র এবং ২ হাজার ৬৯৭ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে। জিপিএ-৫ বেড়েছে কারিগরি ও মাদ্রাসায়: পরীক্ষা ছাড়াই ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের ঘোষিত ফলাফলে কারিগরি বোর্ডে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। আগের বছরের চেয়ে এ বছর ৯০৯ জন বেশি কারিগরি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। ফলাফলের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এইচএসসিতে ২০২০ সালে কারিগরিতে মোট পরীক্ষার্থী ছিল এক লাখ ৩৩ হাজার ৭৪৬ জন, এরা সবাই উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ১৪৫ জন। ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ২৩৬ জন। এবার ৩ দশমিক ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। গত বছর মোট পরীক্ষার্থীর ২ দশমিক ৬০ শতাংশ জিপিএ-৫ পেয়েছিল। অন্যদিকে, মাদ্রাসা বোর্ডের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মোট জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ২ হাজার ৩১৮ জন ছাত্র ও ১ হাজার ৭৩০ জন ছাত্রী। এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্তির শতকরা হার ৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ, যা গত বছর ছিলে ২ দশমিক ৬০ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ ঢাকা বোর্ডে: অটোপাসের বছরে সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছেন ঢাকা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা। এই বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৭ হাজার ৯২৬ (১৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ)। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রাজশাহী বোর্ডে ২৬ হাজার ৫৬৮ জন এবং তৃতীয় অবস্থানে থাকা দিনাজপুর বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৮৭১ জন। এছাড়া, চট্টগ্রাম বোর্ডে ১২ হাজার ১৪৩ জন, যশোর বোর্ডে ১২ হাজার ৮৯২ জন, ময়মনসিংহ বোর্ডে ১০ হাজার ৪০ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ৯ হাজার ৩৬৪ জন, বরিশাল বোর্ডে ৫ হাজার ৫৬৮ জন এবং সিলেট বোর্ডে ৪ হাজার ২৪২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। মাদ্রাসা বোর্ডে ৪ হাজার ৪৮ জন ও কারিগরি বোর্ডে ৪ হাজার ১৪৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। বিদেশি ৮টি কেন্দ্রের ফল: এইচএসসি পরীক্ষায় বিদেশ কেন্দ্রে ২১৫ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছেন। বিদেশে আটটি কেন্দ্রে পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬২ জন। বিদেশ কেন্দ্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও আটটি। গত বছর বিদেশ কেন্দ্রে পাসের হার ছিল ৯৪ দশমিক ০৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ২৬ জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা ছাড়াই যে পদ্ধতি ফল: এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রণয়নে জেএসসি/জেডিসি এবং এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার বিষয় ম্যাপিং পদ্ধতি তুলে ধরে ফলাফলের পরিসংখ্যানে বলা হয়- সাধারণভাবে জেএসসি/সমমান পরীক্ষার ২৫ শতাংশ ও এসএসসি/সমমান পরীক্ষার ৭৫ শতাংশ বিষয়ভিত্তিক নম্বর বিবেচনা করে এইচএসসির ফলাফল নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষার আবশ্যিক বাংলা, ইংরেজি এবং আইসিটি বিষয়ের নম্বরের ২৫ শতাংশ ও এসএসসির আবশ্যিক বাংলা, ইংরেজি এবং আইসিটি বিষয়ের নম্বরের ৭৫ শতাংশ বিবেচনা করে এইচএসসিতে আবশ্যিক এই তিন বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। বিজ্ঞান গ্রুপের ক্ষেত্রে জেএসসির গণিত এবং বিজ্ঞান বিষয়ে প্রাপ্ত গড় নম্বরের ২৫ শতাংশ ও এসএসসির পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন এবং উচ্চতর গণিত/জীববিজ্ঞান বিষয়ের ৭৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনা করে যথাক্রমে এইচএসসির পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও উচ্চতর গণিত/জীববিজ্ঞান বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের ক্ষেত্রে জেএসসি/সমমানের পরীক্ষার গণিত এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে প্রাপ্ত গড় নম্বরের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি পরীক্ষার গ্রুপ ভিত্তিক তিনটি সমগোত্রীয় বিষয়ের ৭৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনা করে যথাক্রমে এইচএসসির ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের তিনটি সমগোত্রীয় বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। মানবিক ও অন্যান্য গ্রুপের ক্ষেত্রে জেএসসি পরীক্ষার গণিত এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে প্রাপ্ত গড় নম্বরের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসির গ্রুপভিত্তিক পরপর তিনটি বিষয়ের ৭৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনা করে যথাক্রমে এইচএসসির মানবিক ও অন্যান্য গ্রুপের তিনটি বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। ফলের পরিসংখ্যানে আরও বলা হয়, গ্রুপ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে জেএসসি/সমমান পরীক্ষার গণিত এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে প্রাপ্ত গড় নম্বরের ২৫ শতাংশের সঙ্গে এসএসসি/সমমান পরীক্ষার গ্রুপভিত্তিক পরপর তিনটি বিষয়ের ৭৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনা করে যথাক্রমে এইচএসসির মানবিক ও অন্যান্য গ্রুপের তিনটি বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। জিপিএ উন্নয়ন ক্ষেত্রে উপর্যুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে আংশিক বিষয়ের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অকৃতকার্য বিষয়ের নম্বর বণ্টনের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতিতে ফলাফল নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও ফলের পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে। রিভিউয়ের সুযোগ থাকছে: প্রকাশিত ফলাফলে আপত্তি থাকলে রিভিউয়ের সুযোগ থাকবে বলে জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এসএম আমিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ফলাফলে কারও আপত্তি থাকলে রিভিউ করতে পারবেন। ফলাফল প্রকাশের পর রিভিউয়ের পদ্ধতি জানিয়ে নোটিশ দেয়া হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা: এবার ফলাফল ঘোষণা উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমায়েত হওয়াতে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এবার ফলাফল অনলাইনে প্রকাশিত হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফলাফল পাওয়া যাবে না। পরীক্ষা কেন্দ্রে অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো ফল পাঠানো হবে না। কাজেই কোনো অবস্থাতেই ফলাফল প্রকাশের দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমায়েত হওয়া যাবে না।
Leave a Reply